১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেফ জোনে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ নিহত

শেয়ার করুন

-ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে, এর ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। হাসপাতাল, স্কুল এবং তথাকথিত “নিরাপদ অঞ্চল” লক্ষ করে পরিচালিত এই হামলাগুলোতে বেসামরিক মানুষের হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকার তথাকথিত “নিরাপদ অঞ্চল” ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়। এই হামলায় তাবুতে আগুন ধরে যায় এবং অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। একদিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০-এ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA)-র প্রধান এই হামলাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, গাজায় স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলা এখন “প্রায় সাধারণ ঘটনা” হয়ে উঠেছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলায় আল-মাওয়াসি এলাকায় কয়েকটি শরণার্থী শিবিরে আগুন ধরে যায় এবং অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। একদিনে, নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। এ নিয়ে ১৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রবিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারীরা যেতে না পারায় এখনো বহু মানুষ হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন।

এদিকে উত্তর গাজার অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নির্দেশে হাসপাতাল খালি করা অসম্ভব, কারণ প্রায় ৪০০ বেসামরিক মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নবজাতক ও জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা প্রয়োজন এমন রোগীও রয়েছে।

একই সময়ে, ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের কফার কিলা শহরে বড় আকারের বোমা হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলা গত মাসে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে, যখন হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি মানুষ বন্দি হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যা এ পর্যন্ত ৪৫,২৫৯ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি এবং ১,০৭,৬২৭ জন আহতের কারণ হয়েছে।-

শেয়ার করুন