১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিউলিপকে বরখাস্তে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্যের সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ব্যাপক চাপে রয়েছেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্য টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং তার খালার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগ ও তদন্ত:
বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, এবং পরিবারের আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে $৫ বিলিয়ন আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৩ সালে টিউলিপ এই প্রকল্পের ব্যয়ের বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছিলেন।

লন্ডনের ফ্ল্যাট বিতর্ক:
২০০৪ সালে টিউলিপ লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট উপহার পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্ল্যাটটি তার খালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল মোতালিফের মালিকানায় ছিল, যা পরে টিউলিপের নামে হস্তান্তর করা হয়। টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উপহার হিসেবে পাওয়া এই ফ্ল্যাট থেকে বর্তমানে তিনি প্রতি বছর £৯০,০০০ আয় করছেন, যা তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ ছিল না।

বরখাস্তের দাবি ও তদন্ত:
বিরোধীদল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপ সিদ্দিককে তার মন্ত্রীত্ব থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদে থাকা তার জন্য বেমানান। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিউলিপ নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া:
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। তবে এই ঘটনা তাকে চাপে ফেলেছে এবং তাকে সরকারি সফরে চীনে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।

রাজনৈতিক প্রভাব:
টিউলিপ সিদ্দিকের লেবার পার্টির সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তার পরিবারিক পরিচয় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু চলমান বিতর্ক এবং তদন্ত তার ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও সরকারের অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

এই সংকটের সমাধান কীভাবে হবে এবং টিউলিপের রাজনৈতিক অবস্থান টিকে থাকবে কিনা, তা এখনো অনিশ্চিত।

 

শেয়ার করুন