
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব–২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে মোট ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং ৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা–১-এ এই মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের তিনজন কর্মকর্তা। মামলাগুলোর প্রধান আসামি গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ছাড়াও তার স্ত্রী, ভাই, ভগ্নিপতি, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং কেয়ারটেকারসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রধান অভিযোগগুলো:
1. ১৫০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন:
লিকুর বিরুদ্ধে ৩৩টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৪ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
তার ভাই, ভগ্নিপতি, ভাগিনা, ব্যবসায়িক অংশীদার এবং কেয়ারটেকারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন পরিমাণ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
2. জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ:
লিকুর বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।
তার স্ত্রী রহিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ভগ্নিপতি শেখ মো. ইকরামের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য আসামিরা:
গাজী হাফিজুর রহমান লিকু (প্রধান আসামি)
রহিমা আক্তার (লিকুর স্ত্রী)
শেখ মো. ইকরাম (ভগ্নিপতি)
গাজী মুস্তাফিজুর রহমান (ভাই)
তানভীর আহম্মেদ (ভাগিনা)
মো. লিয়াকত হোসেন (ব্যবসায়িক অংশীদার)
মো. কালু সেখ (ব্যবসায়িক অংশীদার)
হামিম শেখ (কেয়ারটেকার)
তদন্তের মূল লক্ষ্য:
মামলাগুলোতে আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব এবং সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত চলছে। সন্দেহজনক লেনদেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।