বোবায় ধরা কী, কেন হয়, প্রতিকারে করণীয়

স্লিপ প্যারালাইসিস একটি সাধারণ কিন্তু ভীতিকর অভিজ্ঞতা, যা কখনো কখনো ঘুমের সময় বারবার হতে পারে। যদি কারো এই সমস্যা ঘনঘন হয়, যেমন প্রতি সপ্তাহে দুই-তিন বার বা প্রতিদিন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিউরোলজিস্ট, অটোলারিংগোলজিস্ট এবং হেড নেক সার্জনের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসার পদ্ধতি

ডা. হাসানুল হকের মতে, স্লিপ প্যারালাইসিসের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ:

1. কাউন্সেলিং: রোগীর সমস্যাগুলো বোঝানো এবং এর কারণ ব্যাখ্যা করা।

2. অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস পরিহার: অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চলা।

3. জীবনধারা পরিবর্তন:

ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করা।

মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং অশান্তি কমানো।

সঠিক ঘুমের রুটিন বজায় রাখা।

 

4. প্রয়োজনে ওষুধ: রোগীর সমস্যা শনাক্ত করে প্রয়োজনে ওষুধ দেওয়া।

 

প্রতিরোধের উপায়

সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা।

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা।

সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া।

ডা. হাসানুল হক মনে করেন, সঠিক পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন স্লিপ প্যারালাইসিস প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

 

শেয়ার করুন

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *