কুমড়া শাকের যত গুণ আছে

-শীতে অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্যতম ও অনেকেরই খুব প্রিয় একটি শাক হচ্ছে কুমড়ার শাক। এ শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে শুধু শাক হিসেবেই নয়, এর ফুলেরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে উপকারিতা পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও। কী কী উপকারে আসে এই শাক, চলুন জেনে নিই-

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়োর শাকের সবজি, স্যুপ বা কুমড়ো পাতার রস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট উপকারী এই শাক।

আয়রনের ঘাটতি পূরণ

কুমড়ার শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেহের রক্তের অভাব হতে দেয় না। নারী ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি থেকে রক্তশূন্যতার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তাই এক্ষেত্রে কুমড়া শাক ভালো অস্ত্র হতে পারে।

ক্ষত সারায়

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাক কুমড়ার পাতা। এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যে কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে কুমড়া শাক খাওয়া যেতে পারে।

হাড় মজবুত ও দৃষ্টিশক্তি

কুমড়া শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়া শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এছাড়াও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতেও ভূমিকা রাখে এই শাক।

ত্বক উজ্জ্বল করে

মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে থাকে। একই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়া।

দুগ্ধদানকারী মায়ের স্বাস্থ্যে

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের শরীরে যথেষ্ট প্রোটিন প্রয়োজন। তার জন্য কুমড়োর শাক খুবই উপকারী। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে। সেই সঙ্গে ভালো থাকে চুলও। কুমড়ো শাকে প্রচুর খাদ্য আঁশ থাকায় হজমে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ

কুমড়ার শাকে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।-

শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *