২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত এক জমকালো আয়োজনে তিনি এ মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. ইউনূস তরুণ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহী হওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের উদ্ভাবনী দক্ষতা রপ্তানি বাণিজ্যে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মেলার আয়োজন ও বিশেষত্ব
প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে। এবারের মেলায় বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে:
1. অনলাইন স্পেস বরাদ্দ: প্রথমবারের মতো বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন অনলাইনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
2. ই-টিকিটিং: মেলার প্রবেশে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
3. যাতায়াত সুবিধা: ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিস ও বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
বিশেষ চত্বর ও প্যাভিলিয়ন
জুলাই চত্বর ও ছত্রিশ চত্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আত্মত্যাগীদের সম্মান জানাতে বিশেষ চত্বর স্থাপন করা হয়েছে।
ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বিশেষ প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে।
মেলার অংশগ্রহণ
এবারের মেলায় ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা এতে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যতীত সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
মেলার সময়সূচি
মাসব্যাপী চলমান এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।
এই আয়োজন তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবার প্রসারে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।