ভারতীয় সেনাপ্রধানের বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, প্রতিবেশীদের মাঝে বিদ্বেষ কারও জন্যই কল্যাণকর নয়। সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রীতির আহ্বান
আসন্ন ‘আর্মি ডে’-র আগে এই সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “আমরা প্রতিবেশী। আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, একে অপরকে বুঝতে হবে। শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক কারও স্বার্থে ভালো হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেছিলেন, কৌশলগত দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, বাংলাদেশও ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
সীমান্ত সম্পর্ক ও সামরিক সহযোগিতা
ভারতীয় সেনাপ্রধান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ সীমান্ত ভারতের সঙ্গে এবং একটি ছোট অংশ মিয়ানমারের সঙ্গে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কোনও সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
জেনারেল দ্বিবেদী জানান, “ক্ষমতার পরিবর্তনের পর থেকেই আমি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এমনকি ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা হয়েছে। সামরিক সহযোগিতা আগের মতোই চলছে। আমাদের কর্মকর্তারা এনডিসি (ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ)-তে যোগ দিচ্ছেন, এবং এতে কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি। শুধু যৌথ মহড়াগুলো কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে আবার শুরু হবে।”
সীমান্তে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। এরই মধ্যে ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনী পর্যায়ে এখন পর্যন্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক এবং সঠিক পথে রয়েছে।”