-গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫ দিনের জোড় ইজতেমায় আজ তৃতীয় দিনের আম বয়ান চলছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের ইমান, আমল ও আখলাককে পরিপূর্ণ শুদ্ধরূপে গড়ে তুলতে বয়ান শুনছেন ইজতেমার শীর্ষ আলেম ও মুরুব্বিরা।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় ইসলামি দাওয়াতি আম বয়ান। যা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের মুসল্লিরা। ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটাচ্ছেন তারা।
এরপর ৩ ডিসেম্বর ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। প্রথম পর্বের জোড় ইজতেমার আয়োজন করেন শুরায়ী নেজাম (মাওলানা যোবায়ের অনুসারীরা)। এরপর দ্বিতীয় পর্ব মাওলানা সাদ অনুসারীদের জোড় ইজতেমা আগামী ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বরে শেষ হবে।
জোড় ইজতেমা হলো তাবলিগ জামাতের একটি অনুষ্ঠান। বিশ্ব ইজতেমার আগে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তবে, তাবলিগ জামাতের সব সাথিই জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না। সাধারণত, তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, জোড় ইজতেমা শেষে বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে আগামী বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে মুসল্লিদের দাওয়াত দেবেন তারা। এই জোড় ইজতেমা থেকেই সিদ্ধান্ত হবে কীভাবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা সফল করা যায়।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের তীরে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে নদের তীরে ইজতেমা মাঠের টিনশেড মসজিদে শুরু হয় ৫ দিনের ‘জোড়’ ইজতেমা (ইজতেমার আগে প্রস্তুতিমূলক সমাবেশ)। এতে অংশ নিয়েছেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা। আগামী ৩ ডিসেম্বর মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে তা। বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে মূলত জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জোড় ইজতেমায় কেবল দেশ-বিদেশের চিল্লাধারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন-