১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থার্টিফার্স্ট নাইটে’ উন্মুক্ত আয়োজন নেই কক্সবাজারে

শেয়ার করুন

আগামী ৩১ ডিসেম্বর সূর্য পশ্চিমাকাশে ডুবে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে নতুন বছরের প্রতীক্ষা। ২০২৪ সালের বিদায়ঘণ্টা বেজে উঠবে, আর ২০২৫ সাল শুরু হবে ১ জানুয়ারি বুধবার। ৩১ ডিসেম্বর রাতের সেই মুহূর্তে অতীতের সফলতা-ব্যর্থতা পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় উদযাপন করা হবে থার্টিফার্স্ট নাইট।

বিগত দেড়যুগ ধরে কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন ছিল একটি জমকালো আয়োজন। তবে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট এবং পরবর্তী সময়ে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উন্মুক্ত স্থানে বর্ষবরণ উৎসব বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে কক্সবাজারের সৈকতে এই উৎসবের আর কোনো বড় আয়োজন হয়নি। তবে এবারও সৈকত ও আশপাশের পর্যটন এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম আশা করা হচ্ছে।

উদযাপনের প্রস্তুতি ও সীমাবদ্ধতা

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন জানিয়েছেন, এবারও সৈকত বা অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থানে থার্টিফার্স্ট উদযাপন নিষিদ্ধ। তবে পর্যটকরা মাঝরাত পর্যন্ত সৈকতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালত টহলে থাকবে।

কক্সবাজারের নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ ন ম হেলাল উদ্দিন জানান, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা সংকট এবং ২০১৯ সালে কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে কক্সবাজারে থার্টিফার্স্ট নাইটের জমকালো আয়োজন আর হয় না। তবে তারকা হোটেলগুলো ইনডোর গেস্টদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাবের সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, ওশান প্যারাডাইস, সায়মন বীচ রিসোর্ট, রামাদা, মারমেইডসহ কয়েকটি তারকা হোটেলে ইনডোর সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বাইরের অতিথিদের এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

পর্যটকদের ভিড় ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা

বড়দিন এবং শীতকালীন ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকত, ইনানী, হিমছড়ি, রামুর বৌদ্ধপল্লী এবং সেন্টমার্টিনসহ পর্যটন স্পটগুলোতে ভিড় জমছে। তবে সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন নির্দিষ্টসংখ্যক পর্যটকের প্রবেশের সীমা থাকায় আগের মতো ব্যাপক ভ্রমণের সুযোগ নেই।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান, সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সৈকতে উন্মুক্ত বর্ষবরণ আয়োজন করলে পর্যটন খাতে কয়েকশো কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভাবনা তৈরি হতে পারত।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, সৈকতজুড়ে আতশবাজি, ফানুস উড়ানো বা উন্মুক্ত স্থানে গান-বাজনার আয়োজন নিষিদ্ধ। তবে পর্যটকরা সৈকতে দাঁড়িয়ে সমুদ্র উপভোগ করতে পারবেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ, র‌্যাব এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

এবারের থার্টিফার্স্ট নাইট কিছুটা প্রাণহীন মনে হলেও পর্যটকদের সমাগমে কক্সবাজারের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

শেয়ার করুন