
ভোটার যুবকদের অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্ব আতালিকায়রোপ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তবে “যুবক” বলতে তিনি কোন বয়সসীমার কথা উল্লেখ করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয়
সিইসি জানান, বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং ভোটার তালিকা সংশোধনসহ নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হলে আমাদের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেহেতু আমরা ভোটার তালিকায় যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, তাই সেখানেও কিছু সংশোধন প্রয়োজন।”
এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব সম্পর্কে সিইসি বলেন, “তাঁরা আমাদের সুপারিশ জানতে চেয়েছেন। আমরা তাঁদের জানিয়েছি আমাদের প্রয়োজন এবং অনুভূতির কথা। সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পর বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করব।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সিইসি’র মন্তব্য
নির্বাচনের সময় নিয়ে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ন্যূনতম সংস্কার করা হলে এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হতে পারে। তবে বৃহৎ সংস্কার করতে হলে আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ সময় লাগবে। আমরা উনার বক্তব্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ড. বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, “আমরা জানতে চেয়েছি, উনাদের (নির্বাচন কমিশন) কোনো সুপারিশ বা মতামত আছে কি না। আমরা চেষ্টা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অথবা জানুয়ারির ৩ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে।”
ভোটার তালিকায় যুবকদের অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ ও সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।