অনশন প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জবি শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করার বিষয়ে লিখিত নিশ্চয়তা পাওয়ার পর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে মন্ত্রণালয়ের সভার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত জবি শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এ.কে.এম. রাকিব অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি মেনে নেওয়া হয়েছে এবং লিখিতভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। আরেকটি দাবি আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। লিখিত চিঠি পাওয়ার পর আমরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। তবে মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।”
শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি:
১. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে দ্রুত হস্তান্তর:
চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরিত এবং তা শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে লিখিত অঙ্গীকার প্রদান।
২. পুরান ঢাকার দুটি ভবনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন:
বাণী ভবন এবং ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে।
3. আবাসন ভাতা নিশ্চিতকরণ:
চূড়ান্ত আবাসন ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে, সোমবার দুপুরে সচিবালয় থেকে সেনাবাহিনীর কাছে ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের বিষয়ে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়।
উপাচার্যের বক্তব্য:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “আগামী বুধবার যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে এই কার্যক্রম আরও দ্রুত হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগেই একটি চুক্তি হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সভায় প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ায় আন্দোলন সফল হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
