প্যান্টের ভুল পকেটে স্মার্টফোন রেখে যে ক্ষতি করছেন

স্মার্টফোন: ব্যবহারে সচেতনতা ও সুরক্ষা

স্মার্টফোন এখন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘর থেকে বাইরে বেরোলেই পকেটে মোবাইল ফোন থাকাটা যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে কোন পকেটে ফোন রাখছেন, তা নিয়ে অনেকেই ভাবেন না। অথচ ভুল পকেটে ফোন রাখার ফলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জানা অত্যন্ত জরুরি।

স্মার্টফোন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

সকালের ঘুম থেকে উঠা থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত স্মার্টফোন আমাদের জীবনের প্রতিদিনের সঙ্গী। যদিও সবাই জানে যে স্মার্টফোন থেকে নির্গত বিকিরণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু বাস্তবিক কারণে ফোন ছাড়া চলার কথা ভাবা মুশকিল। চিকিৎসকরা প্রায়ই পরামর্শ দেন, ফোন শরীর থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা উচিত।

কোন পকেটে মোবাইল রাখা নিরাপদ?

ফোন রাখার সময় অনেকেই অভ্যাসগত কারণে প্যান্টের পেছনের পকেট বেছে নেন। কেউ স্টাইলের জন্য, আবার কেউ সামনের পকেটে চাপ পড়ার ভয়ে পেছনের পকেট ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোন পেছনের পকেটে রাখা নিরাপদ নয়।

পেছনের পকেটে ফোন রাখার ঝুঁকি

1. ব্যাটারি বিস্ফোরণের আশঙ্কা:
স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় তাপ উৎপন্ন হয়। পেছনের পকেটে রাখলে ফোন অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়ে, যা ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ায়।

2. ফোনের ক্ষতির সম্ভাবনা:
বসার সময় পেছনের পকেটে থাকা ফোন স্ক্রিন ভেঙে যেতে পারে। হাঁটার সময় পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বেশি।

3. চুরির ঝুঁকি:
পেছনের পকেট থেকে ফোন চুরি করা তুলনামূলক সহজ। জনবহুল স্থানে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

 

সামনের পকেটে রাখার সুবিধা

ফোন সামনের পকেটে রাখলে চাপ কম পড়ে এবং ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এছাড়া চুরির ঝুঁকি অনেক কমে। তবে দীর্ঘক্ষণ ফোন শরীরের সাথে লেগে থাকলে এর বিকিরণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প

ফোন রাখার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হলো ব্যাগ। ব্যাগে রাখলে ফোন শরীর থেকে দূরে থাকে, ফলে বিকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব কমে। একইসঙ্গে চুরির ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।

যারা পকেটে ফোন রাখতে অভ্যস্ত, তারা চেষ্টা করুন ফোন পকেটে কম সময় রাখার। প্রয়োজনে ব্যাগে বা অন্য নিরাপদ স্থানে ফোন রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

অতিরিক্ত সতর্কতা:

ফুলে ওঠা বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাটারির ফোন ব্যবহার করবেন না।

ফোন অতিরিক্ত গরম হলে ব্যবহার বন্ধ রাখুন।

স্মার্টফোন ব্যবহারের সঠিক অভ্যাস আপনাকে এবং আপনার ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখবে। সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

 

শেয়ার করুন

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *