
ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর তিনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেন। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল থেকে শুরু করে সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
অবৈধ অভিবাসন ইস্যু সমাধানে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন দেশ উদ্যোগ নিয়েছে। এদের মধ্যে একটি দেশ হলো ভারত। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তাদের হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে ভারত।
ব্লুমবার্গ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের শনাক্ত এবং তাদের ফিরিয়ে নিতে ভারত সরকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন কমানোর অংশ হিসেবে ভারত এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে অবৈধ বলে চিহ্নিত করেছে এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো অজানা।
বিশেষ করে পশ্চিম ভারতের পাঞ্জাব ও গুজরাটের তরুণরা এই তালিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। অবৈধ অভিবাসন রোধ করা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল।
ভারত আশা করছে, এই সহযোগিতার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ অভিবাসন চ্যানেলগুলো, যেমন শিক্ষার্থী ভিসা ও দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ-১বি ভিসা, আরও সুরক্ষিত থাকবে। ২০২৩ সালে অনুমোদিত ৩ লাখ ৮৬ হাজার এইচ-১বি ভিসার মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “ভারত-মার্কিন অভিবাসন ও চলাচল সহযোগিতার অংশ হিসেবে উভয় পক্ষই অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে কাজ করছে। এটি বৈধ অভিবাসনের সুযোগ বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করবে।”


Leave a Reply