
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন, যা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে। এই আদেশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ডেমোক্রেটিক পার্টি-প্রভাবিত অঙ্গরাজ্যগুলো।
ক্যালিফোর্নিয়া ও ম্যাসাচুসেটসের নেতৃত্বে মামলার উদ্যোগ
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা এবং ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আরও ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা এতে যুক্ত হয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা বলেছেন, “প্রেসিডেন্টের এই আদেশ অশোভন, অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আদালতকে অনুরোধ করছি, যত দ্রুত সম্ভব আদেশটি স্থগিত করুন।”
ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং তার প্রভাব
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, অবৈধ অভিবাসীর সন্তান হলে সেই শিশুকে আর মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
বৈধ অভিবাসীর সন্তানও যদি জন্মের সময় উভয় পিতা-মাতা স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তবে সেই শিশুও নাগরিকত্বের যোগ্য হবে না।
শিক্ষার্থী, কর্ম, বা পর্যটন ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরতদের সন্তানদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এই আদেশ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি
মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি শিশু নাগরিকত্বের অধিকারী। এই আইন মূলত দাস প্রথার অবসানকালে আফ্রিকান দাসদের সন্তানদের স্বীকৃতি দিতে তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্পের নতুন আদেশটি এই সাংবিধানিক অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করছে।
ডেমোক্রেটিক প্রতিক্রিয়া ও মামলা
ডেমোক্রেটিক নেতারা ট্রাম্পের আদেশকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটিকে আটকে দেওয়ার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্র্যময়তা এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সম্ভাব্য প্রভাব
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং এটি বিচার বিভাগীয় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সংবিধান ও মানবাধিকার রক্ষায় আদালতের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।