
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর চলতি মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। তবে এর পরেও নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, মূলত ধ্বংসস্তূপের নিচে একের পর এক লাশ উদ্ধার হওয়ায়। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৭,৩০০ ছাড়িয়ে গেছে, জানানো হয়েছে ২৬ জানুয়ারি বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৭,৩০৬ জনে পৌঁছেছে, বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত রোববার মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়, যার ফলে নিহতের সংখ্যা ৪৭,৩০০ ছাড়িয়ে যায়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন তাদের আঘাতের কারণে মারা গেছেন এবং ইসরায়েলি হামলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হামলায় আহতের সংখ্যা ১,১১,৪৮৩ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, যা তিন-পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি এবং ইসরায়েলি বাহিনী গাজা থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয়। তবে, গাজার ওপর ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণ আপাতত থামলেও সেখানে নিখোঁজ রয়েছেন ১১,০০০ এরও বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।


Leave a Reply