
আজ ৮ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীদের অধিকার এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিবস। এই দিনটিতে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসার প্রকাশ করা হয়।
এই বিশেষ দিনটি নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সাফল্য উদযাপন করার পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের একটি সুযোগ করে দেয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আদিত্য চৌধূরী।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী দিপান্বিতা চন্দ বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবস হলো নারীর ক্ষমতায়ন, সমান অধিকার এবং সম্মানের প্রতীক। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অবদান অমূল্য, তাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনাকে সম্মান জানানো, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের এবং সমাজের সকলের দায়িত্ব। সকল নারী এগিয়ে যাক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে!”
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী দহিতা ত্রিপুরা জানান, “নারী মা, নারী বোন, আবার নারীই স্ত্রী, এবং সে নারীই জীবনের সঙ্গী। তাই নারীর জন্য সন্মান চাই, নারীর জন্য সমতা চাই, নারীর জন্য ন্যায়বিচার চাই।”
ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী পূজা চক্রবর্তী নারী দিবস সম্পর্কে তার ধারণা তুলে ধরে বলেন, “একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে আজ নিজেই নিজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। কী এমন অন্যায় করলাম নারী হিসেবে জন্মে, যেখানে আমার জীবন সংশয়ের সম্ভবনা থাকে। যে দেশে পুরো নারী জাতি অনিরাপদ, সে দেশে কেন এই নারী দিবস পালন করে? সময়ের স্মৃতি রক্ষার্থে বোধহয় ৮ই মার্চ নারী দিবস পালন করি। তা না হলে এত এত ঐতিহাসিক আন্দোলনের সবটাই তো বৃথা, কারন আজও আমরা পুরো নারী জাতি এই দেশে অনিরাপদ। তাই সকল নারীর জন্য নিরাপদ একটি বাংলাদেশ চাই।”
ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মায়িশা তাবাচ্ছুম বলেন, “নারী হলো শক্তির প্রতীক, মমতার আধার, সমাজের প্রাণ। নারী ও পুরুষ হলো একে অপরের পরিপূরক। নারীর মধ্যে যে স্নেহ আছে, যে মমতা আছে, সে সত্তা পুরুষের মধ্যে থাকলে পৃথিবী হয়তো আজকের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে উঠতো। তাইতো কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন,
“বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”


Leave a Reply