১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ খাবারে বৈষম্যের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোর বয়কটের ডাক

শেয়ার করুন

রাবি প্রতিনিধি: মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবার পরিবেশনের কথা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রভোস্ট কাউন্সিল।

আগামী ২৮ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে এ আয়োজন করা হবে বলে জানান রাবি প্রভোস্ট কাউন্সিল। তবে এই খাবার বয়কটের ডাক দিয়েছে রাবি সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাবেক সমন্বয়ক, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং বিভিন্ন বাম সংগঠন।

বরাবারের মতোন এই খাবার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের। এমন বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে এবং স্বাধীনতা দিবসের খাবারের সর্বজনীন আয়োজন দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এবং সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী।

এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা স্পষ্টতই বৈষম্যমূলক। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিলো গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই ধরনের অন্যায্যতা গুলোয় ছেদ ঘটবে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের বহু সিদ্ধান্তের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আমলের পার্থক্য দেখা যাচ্ছেনা। আমরা অবিলম্বে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ খাবার আয়োজনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে সর্বজনীন খাবার বন্টনের দাবি জানাই।

রাবির আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মাহমুদ আল হাসান বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল কেন্দ্রিক যে খাবারের ব্যবস্থা করেছে এখানে যদি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা না রাখা হয় তাহলে একজন আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের উক্ত খাবারের আয়োজনকে বয়কট করলাম।

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মো. নওসাজ্জামান বলেন, প্রশাসনকে প্রতিটি বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে তো সমস্যা। ২৮ তারিখ আমাদের অনাবাসিক ভাই-বোনদের রেখে রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে এই সিস্টেমকে বৈধতা দেওয়া হবে। সুতরাং আসুন অনাবাসিক ভাই-বোনদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে আমরা কোনো রেজিষ্ট্রেশন করবো না এই প্রতিজ্ঞা নেই।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে সাধারণত হল প্রশাসন থেকে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এইটা করা হয় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য। অথচ আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের যাবতীয় ফি প্রদান করে আসছে। এমতাবস্থায় এইটা সংশোধন করা জরুরি। আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরকেও এর অন্তর্ভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই বিশেষ খাবারের আয়োজনে হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাবেক সমন্বয়ক, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন বাম সংগঠন।

শেয়ার করুন