
-খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) খুলনার ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী শেখ মো. মেরাজ হোসেন বাদী হয়ে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, মেরাজ হোসেনের বাবা ২৮ বছর ধরে ডাকবাংলো মোড়ের হুগলি বেকারের পেছনে জমি ইজারা নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ হোসেন এন্টারপ্রাইজ নামে তাদের দোকানে প্রায় এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ২০ জুন বিকালে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তার বাবাকে জমির মূল কাগজপত্র নিয়ে ডেকে পাঠান। পরে মূল কাগজ রেখে টালবাহানা করতে থাকেন।
এ ব্যাপারে ২ নম্বর আসামি মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে ওই বছর ১২ জুন জেলা পরিষদে গেলে ১ নম্বর আসামি হারুনুর রশীদ ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, টাকা না দিলে মূল কাগজ ফেরত দেওয়া হবে না এবং দোকানের বরাদ্দ বাতিলের হুমকি দেন। এছাড়া ওই দিন মাহবুব বলেন ওই জমি কেসিসির অধীনে হস্তান্তর হওয়ায় মেয়রকেও ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে।
এই ৩০ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় গত ২১ জুন রাত ১০টায় মেরাজ হোসেনের দোকানটি ভেঙে ফেলে। এতে দোকানে প্রায় ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ওই সময় সদর থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। আসামিরা ক্ষমতায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হাওলাদার বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালত আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।-