
জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অব্যাহত সমর্থন দেবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এই কথা বলেন।
জাপান বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে সমর্থন করে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থন’ রয়েছে।
জাপানি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরও কোনো জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।
জাপান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে:
* শান্তি ও স্থিতিশীলতা
* অর্থনৈতিক সহযোগিতা
* জনগণের মধ্যে সম্পর্ক
জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টাকে নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। এই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বাংলাদেশের পদক্ষেপকে সমর্থন করে। জাপান মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বানকে সমর্থন করে, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।