১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব : মঈন খান

শেয়ার করুন

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার: আব্দুল মঈন খান

“যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছিল, আমরা ইনশাআল্লাহ পুনরায় বাংলাদেশে সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব,” বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল মঈন খান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে—এটাই দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা। আমরা বিশ্বাস করি, যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেই।”

তিনি আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ছেড়েছে। এটি নতুন কিছু নয়। ঠিক যেমন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের মুখে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে বন্দুকের মুখে রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছিল, আওয়ামী লীগও ২০২৪ সালে একইভাবে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের সরকার হিসেবে অভিহিত করে মঈন খান বলেন, “এই সরকারের ওপর দেশের মানুষের ম্যান্ডেট রয়েছে। তাদের গুরু দায়িত্ব হলো দেশের জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। বিএনপি সর্বোতভাবে এই সরকারকে সহযোগিতা করছে, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।”

গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনামলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করলেও তারা কখনোই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না। ১৯৭১ সালে তারা কাপুরুষের মতো পালিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা সংসদে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিল। গত ১৫ বছরেও তারা অলিখিত বাকশাল কায়েম করে দেশের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছে।”

মঈন খান জানান, দেশের জনগণ এখন প্রকৃত গণতন্ত্র প্রত্যাশা করে এবং বিএনপি জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে বদ্ধপরিকর।

শেয়ার করুন