
বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ, ওষুধ, মোবাইল ফোন, আইএসপি সেবা, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপসহ বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
যেসব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট কমানো বা প্রত্যাহার করা হয়েছে:
১. ওষুধ:
চিকিৎসাসেবা সহজতর করার লক্ষ্যে ওষুধ শিল্পে ব্যবসায়িক পর্যায়ে বৃদ্ধিকৃত ভ্যাটের হার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে ২.৪% হারে বলবৎ রাখা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ওষুধশিল্পের বিকাশ বজায় রাখার পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার জন্য ওষুধের দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।
২. মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা:
দেশের ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম জোরদার করতে মোবাইল ফোন সিম/রিম কার্ড ও ইন্টারনেট সেবার ওপর বর্ধিত এবং নতুন আরোপিত শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে ভোক্তারা আগের মতোই সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা পাবেন।
৩. রেস্তোরাঁ:
থ্রি-স্টার, ফোর-স্টার ও ফাইভ-স্টার হোটেল ব্যতীত সব ধরনের রেস্তোরাঁর অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে সাধারণ জনগণ আগের দামে এসব রেস্তোরাঁয় খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
৪. মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ:
জনস্বার্থে মোটর গাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ সেবার ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে এ সেবার খরচ ভোক্তার জন্য আগের মতোই থাকবে।
৫. পোশাক বিপণন:
নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পোশাক বিপণনে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ১৫% থেকে কমিয়ে ১০% নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্য কিছু খাতে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়:
খাদ্যপণ্য: ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, ডিম, পেঁয়াজ, চাল, খেজুর ও কীটনাশকের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট ব্যাপক হারে কমানো হয়েছে।
শিক্ষা: ই-বুক সেবার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরবরাহ ও আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেল: যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হজযাত্রী: হজযাত্রীদের খরচ কমাতে টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে নেওয়া হয়েছে। তবে কেন কিছু পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছিল, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
এনবিআরের এই উদ্যোগ জনগণের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।